ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায়

 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় পাঠকদের উদ্দেশ্যে আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন  ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যায়  ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় তবে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার আগে অবশ্যই সূচিপত্রটি দেখে নিন তাহলে আপনার পড়ার জন্য সুবিধা হবে।

সূচিপত্রঃ  ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায়

ভূমিকা

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় এখানে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স খুব সহজ উপায়ে কিভাবে নিতে পারবেন পুরাই স্টেপ বাই স্টেপ। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীর প্রক্রিয়া পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রকৃতি কিভাবে করতে হয়। 

লার্নার বা শিক্ষা নবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর্ম এর জন্য কিভাবে কি করতে হবে মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য কি করতে হবে সম্পূর্ণ ডিটেলস এখানে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সেগুলো করতে হয় স্টেপ বাই স্টেপ।

 ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায়

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় এর মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্ব শর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবি ড্রাইভিং লাইসেন্স। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবির ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজনে প্রমাণাদি সহ ড্রাইভিং এর যে সার্কেলের আওতাভুক্ত তাকে সেই সার্কেলের অফিসে আবেদন করতে হবে। 

সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। দুই থেকে তিন মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময় নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। 
আরো পড়ুনঃ ভ্রমণের ভয় যেভাবে দূর করবেন
এ সময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপি ও লিখিত পরীক্ষার অংশগ্রহণের জন্য সাথে আনতে হবে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদারের জন্য নূন্যতম ১৮ বছর হতে হবে।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফর্ম এ আবেদন।

২। রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।

৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ অথবা পাসপোর্ট এর সত্যায়িত কপি।

৪। নির্ধারিত ফি এক ক্যাটাগরি ৩৪৫ টাকা ও ২ ক্যাটাগরি ৫১৮ টাকা বিআরটিএ নির্ধারিত ব্যাংকে ব্যাংকের তালিকা  তে পাওয়া যাবে জমা দানের রশিদ।

৫। ছদ্ম তোলা তিন কপি স্টাম্প ও শুন্য এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

লিখিত মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ক্রমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কি প্রদান করে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ডিজিটাল ছবি ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয় স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।

স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফর্ম এর আবেদন।

২। রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।

৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড জন্ম সনদ পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।

৪। নির্ধারিত ১৪৩৮ টাকা ও অপেশাদার ২৩০০ টাকা বিআরটিএ নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দেয়ার পর রশিদ গ্রহণ করবেন।

৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রকৃতি

১।  ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০ কেজি এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।

২। পেশাদার মাধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জীবন বদলানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
৩। পেশাদার ভারি(মোটরযান ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে 0৩ বছর হতে হবে।

[ বিশেষ দ্রষ্টব্য এ সাদা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর নূন্যতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে তিন বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।]

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া

১। অপেশাদার

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায় গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফ্রি মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিনের মধ্যে হলে ২১৮৫ টাকা ও মে য়াদ মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতিবছর 200 টাকা জরিমানা সহ জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট,

সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে আবেদন পত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র ঠিক পাওয়া গেলে একই দিনে গ্রাহককে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল ছবি ডিজিটাল স্বাক্ষর আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হবে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

২। পেশাদার

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি মেয়াদো টিনের 15 দিনের মধ্যে হলে ১৩২৩ টাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর 200 টাকা জরিমানা সহ জমা দিয়ে, 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে আবেদন পত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র ঠিক পাওয়া গেলে একই দিনে গ্রাহককে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল ছবি ডিজিটাল স্বাক্ষর আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হবে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

ডুবলিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফর্মে আবেদন।

২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।

৩। নির্ধারিত ফি হাই সিকিউরিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৬৩৩ টাকা বিআরটি এর নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দানের রশিদ।

৪। সদ্গ তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

লার্নার বা শিক্ষা নবীর ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম এর জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন

ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরমের জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন

মেডিকেল সার্টিফিকেট এর জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন

লেখক এর শেষ কথা

পরিশেষে আপনারা জানতে পেরেছেন  ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ উপায়  করতে হয় এছাড়া না বললেই নয় যেটা কথা সেটা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর সম্পূর্ণ ফাইলটি অনলাইনে পূরণ করে বিআরটিএ অফিসে জমা দিলে আপনার কাজ শেষ।

এখানে কোন দালাল ধরার প্রয়োজন হবে না আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন এছাড়াও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে জানান আমরা সময়ের মধ্যে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url